
আমার কাগজ ডেস্ক
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস এবং সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্যেই ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, গাজায় আগ্রাসন চলমান অবস্থায় ইরানে হামলা নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলেছে। যদিও ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পাচ্ছে, তবে ইরানের পাশে এখনো দৃশ্যমানভাবে কেউ নেই।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতি বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এ যুদ্ধ হঠাৎ নয়, এর রয়েছে সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য। সাবেক কূটনীতিক এম হুমায়ুন কবির বলেন, “ইসরায়েলের যুদ্ধের দুটি লক্ষ্য। প্রথমত, ইরানের চলমান পারমাণবিক কার্যক্রম ধ্বংস করা। দ্বিতীয়ত, দেশটির সরকার পরিবর্তন করা। এই দুই লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আক্রমণ অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা।”
অধ্যাপক শাহাব এনাম খান বলেন, “মূল টার্গেট ইরানের বিপ্লবী গার্ড নয়, বরং বর্তমান সরকার। এ হামলার উদ্দেশ্য ইরানে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা করা। এর পেছনে পশ্চিমা বিশ্বের পরোক্ষ সহায়তাও রয়েছে। সার্বিকভাবে এটি একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।”
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের তুলনায় ইরানের জন্য এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া অনেক বেশি কঠিন হবে। তবে যুদ্ধের ফলাফলেই নির্ধারিত হবে মধ্যপ্রাচ্য ও উপসাগীয় অঞ্চলের নতুন ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা। কারা ইরানের পাশে দাঁড়ায়, তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার হবে বলেও মনে করছেন তাঁরা।