
আমার কাগজ ডেস্ক
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল রোববার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
পাশাপাশি ইরানের সঙ্গে কোনো চুক্তির ক্ষেত্রে তেহরানের ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়টিও আমলে নেওয়ার আহ্বান জানান এই নেতা।
জেরুজালেমে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘তাদের পরমাণু অবকাঠামো গুটিয়ে আনতে হবে, এবং এর অর্থ হলো—তাদের আর ইউরেনিয়াম পরিশোধন করার সক্ষমতা থাকবে না’।
চুক্তির মাধ্যমে ‘ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র (নির্মাণের কার্যক্রম) প্রতিহত করতে হবে’ বলেও তিনি দাবি করেন।
‘যে চুক্তি নিশ্চিত করবে যে ইরান আর পরমাণু অস্ত্র নির্মাণের উপযোগী ইউরেনিয়াম পরিশোধন করতে পারবে না, সেই চুক্তিই প্রকৃত চুক্তি’, যোগ করেন এই নেতা।
আত্মবিশ্বাস নিয়ে নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, ‘ইরানের হাতে কোনো ধরনের পরমাণু অস্ত্র থাকবে না।’
পশ্চিমা সরকারগুলো দীর্ঘদিন ধরেই সন্দেহ করে আসছে, ইরান পরমাণু অস্ত্র নির্মাণের সক্ষমতা অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
তবে এই দাবি বরাবরই নাকচ করে এসেছে তেহরান। তারা জানিয়েছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি একটি পুরাদস্তুর শান্তিপূর্ণ উদ্যোগ।
১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকেই ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতার শুরু।
শনিবার ওমানে দুই দেশ তৃতীয় দফায় পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছে। চুক্তির মূল বিষয়, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি মেনে নিলে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত অসংখ্য অর্থনৈতিক ও সামরিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হতে পারে।
তেহরান ও ওয়াশিংটন উভয়ই আলোচনার অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এক মার্কিন কর্মকর্তা একে ‘ইতিবাচক ও ফলপ্রসূ’ বলে অভিহিত করেন। অপরদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানান, আগামী সপ্তাহে চতুর্থ দফার বৈঠকের আগে দুই পক্ষের চিন্তাধারার ‘ব্যবধান’ দূর করার জন্য কাজ করতে হবে।
এর আগে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে বিশ্বের ক্ষমতাবান রাষ্ট্রগুলোর একটি চুক্তি হয়। পরমাণু কর্মসূচি সীমিত রাখার শর্তে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল। তবে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তিন বছর পর এই চুক্তি থেকে সরে আসায় এটি বাতিল হয়ে যায়।
হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকেই ইরানকে নতুন চুক্তি নিয়ে দরকষাকষি করার আহ্বান জানিয়ে আসছে আসছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অন্যথায় সামরিক অভিযান পরিচালনার হুমকিও দিয়েছেন ওই রিপাবলিকান নেতা।