আমার কাগজ ডেস্ক
বিভিন্ন গণমাধ্যমে কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার ঘটনায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের নিজ কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় একজন ইউপি চেয়ারম্যান হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুতর। নিজ কার্যালয়েও নিরাপদে থাকতে না পারলে মানুষজনের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেবে। এতে দাপ্তরিক কাজকর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করতে পারে। ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। এ ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনাপূর্বক জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে।
প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনের বরাতে সুয়োমটোতে উল্লেখ করা হয় যে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন ওরফে সেন্টুকে একাধিক গুলি ছুড়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউপি কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় নঈম উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। মাত্র ৫ মিনিটে এ হত্যাকাণ্ড সমাপ্ত করে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। সন্ত্রাসীরা একাধিক দলে ভাগ হয়ে ওই কার্যালয় ঘিরে ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ নিশ্চিত করেছে। ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও সিরাজনগর গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন। ঘটনার সময় তিনি চেয়ারম্যানের কক্ষেই উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ওসি, দৌলতপুর, কুষ্টিয়ার সাথে কমিশন থেকে মুঠোফোনে যোগাযোগ হলে তিনি জানান যে, ইতোমধ্যে এ বিষয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারে একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
এ অবস্থায়, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন ওরফে সেন্টু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক মামলার তদন্ত কার্যক্রমের সর্বশেষ অগ্রগতি আগামী ১২ নভেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে কমিশন কে অবহিত করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ এর ১৭ ধারা অনুযায়ী পুলিশ সুপার, কুষ্টিয়া-কে বলা হয়েছে।