আমার কাগজ প্রতিবেদক
ঢাকা সড়ক পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) প্রকল্প পরিচালক ধ্রুব আলম জানিয়েছেন, আবারও ঢাকা নগর পরিবহন চালু করা হবে। তিনি বলেন, আমরা ধাপে ধাপে কাজ করছি। তবে এখন আমরা ৪২টি রুটেই আবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি। বাস মালিকরাও এটায় সাড়া দিয়েছেন। ৪০টিরও বেশি কোম্পানি থেকে প্রায় সহস্রাধিক বাসের আবেদন আমরা পেয়েছি। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ আমাদের পরিকল্পিত রুটে বাস চালাতে সক্ষম হবো। এছাড়াও নগর পরিবহনে নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা যাবে র্যাপিড পাস।
ধ্রুব আলম বলেন, তৎকালীন যারা ছিলেন মালিক সমিতি বা এই প্রজেক্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের সবার সদিচ্ছার অভাবেই সফল হয়নি এই প্রজেক্ট। তবে আশার খবর হলো, সরকার পরিবর্তন হওয়ায় আবার নড়েচড়ে বসেছে ঢাকা সড়ক পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ। বাস্তবসম্মত করা হচ্ছে বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পকে। প্রথম পর্যায়ের ব্যর্থতার পর নতুন সরকারের সময়ে বাস রুট রেশনালাইজেশনের সফলতা নিয়ে আশাবাদী ডিটিসিএ।
প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, ঢাকায় ৩৪টি ও শহরতলি পরিবহন নামে ঢাকার বাইরে ৮টি রুটসহ মোট ৪২ রুটে চলবে বাস। এক রুটে একটি মাত্র কোম্পানির বাস চলবে। যেখানে সেখানে কেউ উঠা-নামা করতে পারবে না। আমরা চেষ্টা করছি সবগুলো বাসে জিপিএস ট্র্যাকিং থাকবে। দেখা যায়, একই কোম্পানির বাস নিজেরাই প্রতিযোগিতা করে; অন্য কোম্পানি তো বাদই দিলাম। এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা হবে না। পস মেশিন চলে এসেছে। আপনি ডিজিটালি টিকিট কাটবেন, কন্ডাকটরকে টিকিট দেখিয়ে উঠবেন, গন্তব্যে পৌঁছে টিকিট দেখিয়ে নেমে যাবেন। আগামী জুন থেকে মেট্রোরেলের মতো র্যাপিড পাস দিয়েও ব্যবহার করা যাবে এসব বাস। পর্যায়ক্রমে বসানো হবে ক্যামেরা। গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ শামসুল হক বলেন, এই পদ্ধতিতে বাস পরিচালনায় রাজনৈতিক সদিচ্ছার পাশাপাশি আলাদা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা থাকা প্রয়োজন। কারণ সঠিক তত্ত্বাবধান না হলে একচেটিয়া সিন্ডিকেট গড়ে উঠতে পারে এই উদ্যোগে।