
মো. ফারুক
শিক্ষানুরাগী, দানবীর, শিল্পপতি আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম কর্তৃক ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত আফতাব উদ্দিন স্কুল এ্যান্ড কলেজ কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার ভাগলপুরে অবস্থিত স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠের নাম। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার গুণগতমান দেশব্যাপী ব্যাপক সুনাম অর্জনের পাশাপাশি প্রতিটি বোর্ড পরীক্ষায় ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখেছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। যে কারণে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও নৈতিকতায় কিশোরগঞ্জ জেলার সেরা বিদ্যাপীঠে পরিণত হয়েছে আফতাব উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ। পরীক্ষায় যেমন তারা অর্জন করে শ্রেষ্ঠ সাফল্য, তেমনই সংস্কৃতি চর্চায়ও রয়েছে তাদের শীর্ষ অবস্থান। বোর্ড পরীক্ষা ফলাফলে ঈর্ষান্বিত সাফল্যের পাশাপাশি অত্র প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী, বাংলা নববর্ষ, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ প্রতিটি অনুষ্ঠান পালন করে থাকে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে এবং বর্ণিল আয়োজনে।
এরই ধারাবাহিকতায় তিনদিনব্যাপী (১১, ১২ ও ১৪ সেপ্টেম্বর) বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০২৩’এর আয়োজন করে আফতাব উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ।
১১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানের ছৈয়ন উদ্দিন আহমদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রথমদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম হুসাইন। আফতাব উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিনা আখতারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি আলহাজ্ব মো. মোস্তাফিজুর রহমান (মস্তু মিয়া), উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মনিরুজামান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত অতিথিবৃন্দ কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধা পুরস্কার, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী পুরস্কার ও নিয়মিত হাজিরা পুরস্কার প্রদান করেন।
১২ সেপ্টেম্বর ২য় দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সেলিনা আখতার, প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মাছুম মিয়া ও গভর্নিং বডির সদস্যবৃন্দ।
১৪ সেপ্টেম্বর তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আফজাল হোসেন উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণবশত তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। কলেজের অধ্যক্ষ সেলিনা আখতারের সভাপতিত্বে এদিন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম হুসাইন, জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বাহার উদ্দিন ভূঁইয়া এবং জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অপারেটিং ডাইরেক্টর মোঃ শামসুর রহমান প্রমুখ।
তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে শ্রেষ্ঠ মেধাবী শিক্ষার্থী, মেধা পুরষ্কার ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে মানস করের গ্রন্থনা ও পরিচালনায় নৃত্যগীতিনাট্য ‘গণহত্যা-৭১’ পরিবেশন করা হয়। যা উপস্থিত সকলকে কিছু সময়ের জন্য হলেও মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির কথা মনে করিয়ে দেয়।
অনুষ্ঠানের অন্যতম সেরা আকর্ষণ ‘রম্য বিতর্ক’ হিসেবে ছিল আঞ্চলিক বিতর্ক চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যদের ‘আমার কাছে আমার নায়কই সেরা’। চমৎকার এ রম্য বিতর্কে অনুষ্ঠানস্থল মাতিয়ে তোলেন তারা।
তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানগুলোর সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন মোঃ শাহ আলম খান ও ছন্দা রাণী দেবনাথ।