
আমার কাগজ প্রতিবেদক
পাঠদান বন্ধ রেখে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশন শুরুর কথা রয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২১তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের আশ্বাস না পাওয়া ও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের সময় না পাওয়ায় এ ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, দাবি আদায় না হলে এই আন্দোলন থামানোর সুযোগ নেই। বিটিএ সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, আমরা একদফা দাবি প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছি। এই সাক্ষাৎ না পাওয়া পর্যন্ত শোকের মাসে কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশন পালন করব। শিক্ষকরা দাবি আদায় না করে রাজপথ থেকে ফিরে যাবে না।
আন্দোলনরতরা বলছেন, যে বেতনভাতা বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকার থেকে দেওয়া হয়, তা দিয়ে বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে শিক্ষকদের টিকে থাকাই অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। গতকালও কয়েক হাজার আন্দোলনকারী এতে অংশ নেন।
শিক্ষকরা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসবভাতা, এক হাজার টাকা বাড়িভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীনে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য। তা ছাড়া বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেলের চেয়ে একধাপ কম
এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল প্রদান না করার ফলে উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান হওয়ায় প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও সহকারী প্রধানদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে বছরের পর বছর সমাবেশ, মানববন্ধন, প্রতীকী অনশন, অবস্থান ধর্মঘট, কর্মবিরতি পালন ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বারবার স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এর পরই তারা আন্দোলন শুরু করেছেন।