আমার কাগজ প্রতিবেদক
‘প্রাণিসম্পদে ভরব দেশ, গড়ব স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চলছে ২ দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী। পুরোনো বাণিজ্যমেলা মাঠের এই পশু প্রদর্শনীতে ২৫টি প্যাভিলিয়ন এবং ৩০টি স্টলে গৃহপালিত বিভিন্ন পশু-পাখি প্রদর্শন করা হচ্ছে। তীব্র গরম ও রোদের কারণে দর্শনার্থীর পরিমাণ কম হলেও যেসব দর্শনার্থীরা এসেছেন তাদের বেশ আনন্দ নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি উৎফুল্ল দেখা গেছে অভিভাবকদের সঙ্গে ঘুরতে আসা শিশু-কিশোরদের।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) প্রদর্শনীর শেষ দিন সরেজমিনে ঘুরে দেখা, প্রদর্শনীতে উন্নত জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল জাতের বিভিন্ন গবাদিপশু যেমন: গাভী, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগি, হাঁস, দুম্বা, কবুতর, শৌখিন পাখি, পোষা প্রাণী এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হচ্ছে। দর্শনার্থীরা সকাল ১০টা থেকে বিনামূল্যে প্রদর্শনী দেখতে ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন। রাত ৮টা পর্যন্ত এই সুযোগ থাকবে। পশু প্রদর্শনীতে পরিবার-পরিজন নিয়েও এসেছেন অনেক মানুষ। মেলাটির আয়োজন করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) ও বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ কাউন্সিল (বিপিআইসি)।
পশু প্রদর্শনীতে উপস্থিত দর্শনার্থীরা বলেন, সরকারের উদ্যোগে এমন আয়োজন দেশের ডেইরি ও পোল্ট্রি খাতে বড় ভূমিকা পালন করবে। একইসঙ্গে নতুন উদ্যোক্তারা এমন কার্যক্রম পরিচালনা করতে আরও বেশি উৎসাহিত হবেন।
সাব্বির রহমান নামে এক দর্শনার্থী বলেন, ফেসবুকে প্রচারণা দেখে প্রদর্শনীতে এসেছি। অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তবে গরম এবং রোদের কারণে মানুষের সংখ্যা কম। এ আয়োজনটি যদি ফেব্রুয়ারিতে কিংবা শীতের সময় করা যায় তাহলে খুবই ভালো হবে।
আলমগীর হোসেন নামের আরেক দর্শনার্থী বলেন, আমিও ছোট খামারি। সেজন্য ঘুরে দেখতে এসেছি। এমন আয়োজন করার জন্য সময় পরিবর্তন করা দরকার। গরমের দিনে না করে যদি শীতকালে করা হয় তাহলে আরও ফলপ্রসূ হবে।
অপরদিকে আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন জাতের প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনের জন্য প্রদর্শনী ময়দানে প্রায় ২৫টি প্যাভিলিয়ন ও ৩০টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি প্যাভিলিয়ন সরকারি কর্তৃপক্ষের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। মেলায় ঢাকা, কুমিল্লা, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর, বেনাপোল, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গাসহ অন্যান্য জেলা থেকে বিডিএফএর মোট ৫৫ হাজার সদস্যের মধ্যে ৩ হাজারের বেশি কৃষক মেলায় যোগ দেন।
জানা গেছে, ব্যতিক্রমী এ মেলায় কয়েক হাজার খামারি তাদের সেরা গরু, ছাগল, মহিষ, পোষা প্রাণী, পাখিসহ নানা পশুর বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় ১৯টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কারও দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দেশের ৬৪ জেলার ৪৬৬টি উপজেলায়ও পাঁচ দিনব্যাপী অনুরূপ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।