
র্স্পোটস ডেস্ক
আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দল রাজস্থান রয়্যালসের স্কোয়াডে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়েছিল সাইবার প্রতারক চক্র। সেই ফাঁদে পা দিয়ে ২৪ লাখ রুপি খুইয়েছেন কর্ণাটকের ১৯ বছর বয়সী রাজ্য পর্যায়ের এক ক্রিকেটার। গতকাল এই খবর জানিয়েছে কর্ণাটক পুলিশ।
৪৩৭ রানের ম্যাচে সেঞ্চুরি করে নায়ক মার্শ
১১ ঘণ্টা আগে
৪৩৭ রানের ম্যাচে সেঞ্চুরি করে নায়ক মার্শ
কর্ণাটকের বেলাগাভি জেলার চিনচানি গ্রামের উঠতি ক্রিকেটার রাকেশ ইয়াদুরে গত বছর মে মাসে হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত এক টুর্নামেন্টে স্থানীয় নির্বাচকদের নজরে আসেন। এরপরই পেশাদার ক্রিকেটার হওয়ার আশা বেড়ে যায় রাকেশের।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বছর ডিসেম্বরে রাকেশ ইনস্টাগ্রামে একটি বার্তা পান। সেই বার্তায় তাঁকে জানানো হয়, রাজস্থান রয়্যালসে খেলার জন্য তাঁকে নির্বাচন করা হয়েছে। বার্তা প্রেরকের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০০০ রুপির বিনিময়ের একটি নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে হবে। বিশ্বাস করে বার্তা প্রেরকের কথামতো কাজ করেন রাকেশ। ব্যস সেই যে শুরু, এরপর গত বছরের ২২ ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত কয়েক দফায় রাকেশ মোট ২৩ লাখ ৫৩ হাজার রুপি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
প্রতারক চক্র খুব দ্রুত অর্থ তুলে নিয়েছে। ব্যাংক হিসাব খালি পড়ে আছে। প্রাথমিক সূত্র বলছে প্রতারক চক্রের অবস্থান রাজস্থান। আমরা সেখানে সাইবার দল মোতায়েন করছি।
বেলাগাভির পুলিশ সুপার ভীমাশঙ্কর গুলেদ
প্রতারক চক্র তাঁকে ৪০ হাজার থেকে ৮ লাখ রুপি ম্যাচ ফি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজেদের কথামতো কাজ করিয়ে নিয়েছে।
৪ রানে ১ উইকেট সাকিবের, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে লাহোর
১১ ঘণ্টা আগে
৪ রানে ১ উইকেট সাকিবের, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে লাহোর
প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও রাকেশ রাজস্থানের অফিশিয়াল কিট ব্যাগ, জার্সি কিংবা ফ্লাইটের টিকিট পাননি। নিজেদের দেওয়া প্রতিশ্রুতির কিছুই পূরণ না করে প্রতারক চক্র যখন রাকেশের কাছে আরও তিন লাখ রুপি দাবি করে, তখন তিনি বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। প্রতারক চক্র এরপরই যোগাযোগের সব প্ল্যাটফর্মে রাকেশকে ব্লক করে দেয়। একটি ফোন নম্বর থেকে এখনো কিছু বার্তা পান রাকেশ। তবে সেই নম্বরেও যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি।
রাকেশ এরপর বেলাগাভি কেন্দ্রীয় পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন এবং এরপরই তদন্ত শুরু হয়। বেলাগাভির পুলিশ সুপার ভীমাশঙ্কর গুলেদ জানিয়েছেন, রাকেশের বাবা কর্ণাটক সড়ক পরিবহন করপোরেশনের নিরাপত্তাকর্মী। তিনি অনেক কষ্ট করে ছেলের হাতে প্রায় ২৪ লাখ রুপি তুলে দিয়েছেন।
ভীমাশঙ্কর বলেন, ‘প্রতারক চক্র খুব দ্রুত অর্থ তুলে নিয়েছে। ব্যাংক হিসাব খালি পড়ে আছে। প্রাথমিক সূত্র বলছে প্রতারক চক্রের অবস্থান রাজস্থান। আমরা সেখানে সাইবার দল মোতায়েন করছি।’
অর্থ ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা রাকেশ চান না তাঁর মতো এমন ভুল আর কেউ করুক, ‘আশা করি পুলিশ আমার অর্থ উদ্ধার করে দেবে। আমি যার ভেতর দিয়ে গিয়েছি, অন্য কারও তা হোক সেটা চাই না।’