নোয়াখালী প্রতিনিধি
অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধের দাখিলা (রসিদ) জমা দিতে না পারায় নোয়াখালীর চাটখিল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জমি রেজিস্ট্রি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ১ সপ্তাহ থেকে জমি রেজিস্ট্রি করতে এসে অনেকে রেজিস্ট্রি না করে ফিরে গেছে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দলিল লেখকরাও।
রেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে জানা যায়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সার্ভারে জটিলতার কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে ভূমি কর পরিশোধ করা যাচ্ছে না। ১৪৩১ বাংলা সনের ভূমি কর পরিশোধের রসিদ দেখাতে না পারলে জমি রেজিস্ট্রি করা যাচ্ছে না।
দলিল লেখক বাবুল শেখ জানান, ১৪৩০ সনের পরিশোধিত রশিদ প্রদর্শন করলেও চাটখিল সাব-রেজিস্ট্রার তা মানছেন না। গত ১ সপ্তাহে জমি ক্রয় করা লোকজন জমি রেজিস্ট্রি করতে এসে জমি রেজিস্ট্রি করতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে।
চাটখিলের শংকরপুর গ্রামের জিয়াউর রহমান ঢাকা থেকে জমি রেজিস্ট্রি করতে বাড়ি এসেছেন। কিন্তু তিনি ভূমি কর পরিশোধের রশিদ দিতে না পারায় তার জমি রেজিস্ট্রি করতে পারেন নাই। এতে হতাশ হয়ে ঢাকার নিজ কর্মস্থলে ফিরে গেছেন।
এ বিষয়ে চাটখিলের সাব-রেজিস্ট্রার আবুল বাশার জানান, সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী ১৪৩১ বাংলা সনের ভূমিকর পরিশোধের রশিদ না থাকলে জমি রেজিস্ট্রি করা সম্ভব না। জানা যায়, নতুন বছরের শুরু থেকে জমির রেজিস্ট্রি খরচ বেড়ে যাবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকিব ওসমান জানান, সার্ভার জটিলতার কারণে সারা দেশে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। সমস্যা সমাধানের বিষয়ে চাটখিলের সকল ইউনিয়ন তহশিলদারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।