আমার কাগজ ডেস্ক
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল। ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের বিশাল সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।
এদিকে এরইমধ্যে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের অন্তিম মুহূর্তের ড্রোন ভিডিও প্রকাশ করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিধ্বস্ত একটি বাড়ির ভেতরে ধ্বংসস্তূপে ঘেরা একটি সোফায় বসে আছেন সিনওয়ার। এক পর্যায়ে তিনি ড্রোনের দিকে একটি বস্তু নিক্ষেপ করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আইডিএফ লিখেছে, নির্মূল: ইয়াহিয়া সিনওয়ার।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্টস এক বিবৃতিতে বলেছেন, গত বছরের ৭ অক্টোবরের গণহত্যা ও নৃশংসতার জন্য দায়ী গণহত্যাকারী ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে আইডিএফ সেনারা নির্মূল করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, বুধবার গাজার রাফাহ শহরের একটি ভবনে অভিযান চালানো হয়েছিল। ধারণা করা হয়েছিল যে ওই ভবনটি হামাসের সিনিয়র নেতারা ব্যবহার করেন। সেই অভিযানে তিনজন নিহত হন, সিনওয়ার তাদের মাঝে একজন।
ইসরায়েলি বাহিনী আরও জানায়, ওই স্থানে জিম্মির কোনো চিহ্ন নেই। পূর্বে দাবি করা হয়েছিল যে জিম্মিদের সুরক্ষার স্বার্থে সিনওয়ার ভ্রমণের সময় তাদেরকে নিজের সঙ্গে রাখবে।
আইডিএফ-এর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, তিনজন বন্দুকধারীকে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে দৌড়াতে দেখে ইসরায়েলি সেনারা। একবার গুলি চালানো হলে তারা বিচ্ছিনি হয়ে যান ও ইয়াহিয়া সিনওয়ার একা ভবনে প্রবেশ করে।
হাগারি আরও বলেন, যে ড্রোন দিয়ে দেখা গেছে সিনওয়ার একটি চেয়ারে বসে আছেন। ইসরায়েলি সেনারা ভবনে প্রবেশ করে নিহত এই হামাসপ্রধানকে একটি ভেস্ট, বন্ধুক ও ৪০ হাজার শেকেলসহ (আট হাজার ২০০ পাউন্ড) দেখতে পায়।
আইডিএফ প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল হার্টজি হালেভি বলেন, আমরা বলেছিলাম আমরা তাকে ধরবো এবং তাকে ধরেছিও। তাকে ছাড়া পৃথিবী এখন ভালো।