করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় সুপ্রিমকোর্টে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরু হয়েছে। রবিবার সকালে শাররিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরু হওয়ায় আদালত চত্বর আইনজীবীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠে।
প্রথমে ৯টার দিকে আপিল বিভাগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচার কাজ শুরু হয়। আর সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে হাইকোর্ট বিভাগে বেঞ্চগুলোতে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরু হয়।
শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়ে ৩ মার্চ। নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে সুপ্রিমকোর্টে শারিরীক উপস্থিতি ছাড়াই ভার্চুয়ালি বিচারকাজ শুরু হয়। এর দেড় মাস পর সরাসরি বিচারকাজে ফিরলো দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ২০২০ সালের মার্চে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের সব আদালতেও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ওই সময় বিচারব্যবস্থা বন্ধ ছিল। সুপ্রিমকোর্ট ২০২০ সালের ১১ মে দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে প্রথম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়ালি আদালতের কার্যক্রম শুরু করে।
এর আগে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে বিচার কার্যক্রম পরিচালনায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার আইন ২০২০ প্রণয়ন করে সরকার। যা জাতীয় সংসদে পাস হয়।
এদিকে আগামী ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। এ উপলক্ষে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের প্রচারণা সকাল থেকে শুরু হয়েছে। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সব প্রবেশমুখে উৎসব মুখর পরিবেশে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ভোট চেয়ে প্রচারনা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি সমিতির মেইন বিল্ডিং থেকে এনেক্স ভবনে যাওয়ার করিডোরেও প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা করছেন তাদের সমর্থকেরা।