নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে গঠিত সার্চ কমিটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর শনিবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই সার্চ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটির সভাপতি করা হয়েছে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান, বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির এই সার্চ কমিটি নিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি মনে করি- সুন্দর একটি সার্চ কমিটি হয়েছে, তাদের মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশনের দ্বারা বাংলাদেশে একটি সুন্দর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যেমনটি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে হয়েছে।’
রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই আইকন ভবনে বঙ্গবন্ধু কর্নার ও ডাইরেক্টরস লাউঞ্জ উদ্বোধন এবং কোভিড সচেতনতা ভিডিও সংগীত প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে মন্ত্রীকে সাংবাদিকরা সার্চ কমিটি নিয়ে প্রশ্ন করেন।
জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইসি গঠন আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটিতে সাংবিধানিক পদধারীদের এবং একজন নারীসহ সুশীল সমাজেরও দুজনকে রাখা হয়েছে। তারা যে অত্যন্ত গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং নিরপেক্ষ মানুষ হিসেবে অতীতে ভূমিকা রেখেছেন, তা সবাই স্বীকার করবেন।
উল্লেখ্য, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। এর আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে। ইসি গঠনে নতুন আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর সরকার আজ (শনিবার) সার্চ কমিটি ঘোষণা করেছে। এই কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করতে হবে।