আমার কাগজ প্রতিবেদক
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জানমালের ক্ষতি, সরকারি সম্পদ নষ্ট ও রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়ে কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দ্বাদশ সংসদের অধিবেশন শুরুর দিনে বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের বাধা দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তারা মনে করেন, সদ্য নির্বাচিত একটি দল ক্ষমতায় এসেছে। প্রথম দিনই কালো পতাকা উড়ানো কোনো যুক্তিতে পড়ে না। এ ধরনের কোনো ঘটনা হলে পারমিশন নিতে হয় এটা যেমন সত্য; আমরা মনে করেছি যদি তাদের কিছু বলতে হয়, কনফারেন্স রুমের ভেতরে যেয়ে তারা যা বলতে চায় বলবেন। রাস্তাঘাটে যান চলাচল বন্ধ করে এই কালো পতাকা উড়ানোটা আমরা মনে করি যুক্তিসঙ্গত নয়, সেই জন্য আমাদের ঢাকার কমিশনার এবং আইজিপি আছেন, তারা মনে করেছেন এটা হলে স্বাভাবিক যান চলাচল, স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হবে। সেই জন্য তারা বন্ধ করেছেন।
আগামীতে এ ধরনের কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতি করবে। তাদের যে রাজনীতি, তাদের যে আদর্শ, তাদের যে উদ্দেশ্য এগুলো সব করবে। এখানে আমাদের কোনও বাধা নেই। আমাদের কথা সেই জায়গায় কারও জানমাল বিনষ্ট করে, সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট করে আর রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়ে মনে হয় এগুলও অযৌক্তিক। এগুলও আমরা করতে দেবো না।
বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের বাধা দেওয়া এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এ ধরনের কর্মসূচি আর করতে দেওয়া হবে না বলে দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশি বাধা দেওয়া হয়নি। প্রথম দিন তারা কালো পতাকা মিছিল করেছিল, আপনারা সবাই দেখেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানকে ধাক্কা দিয়ে পুলিশ ভ্যানে তোলা নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যখন একটা অ্যারেস্ট হয়, রাজনৈতিক নেতা বা যেই হোক, একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। একটা ধাক্কাধাক্কি, সামনাসামনি অনেক মানুষ একত্রিত হয়ে যায়। তার পক্ষের দল-বিপক্ষের দল হয়ে যায়। তখন পুলিশ বাধ্য হয়ে মানুষ সরানোর জন্য একটু ধাক্কাধাক্কি হয়ে যায়। এটা ইচ্ছাকৃত পুলিশ করে না। এটা অনিচ্ছাকৃতভাবে করে। আপনারা দেখেছেন, কাউকে ধরতে গেলে অতি উৎসাহী জনগণ এসে দাঁড়ায়। তাদেরকে সরাতে পুলিশ আবার হিমশিম খায়। এ জন্য এসব ঘটনাগুলো ঘটে। যেগুলো ঘটেছে এগুলো অতি উৎসাহী জনগণের কারণে।
এর আগে, ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় আর্মস হোল্ডারদের স্মার্টকার্ড দেওয়া হয়।