
আমার কাগজ প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় সরাসরি জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে টাকা, মোবাইল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গতকাল শুক্রবার রাতে তাদের সাভার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- মানিকগঞ্জের মুহিত, শরিয়তপুরের সবুজ এবং ঢাকার শরীফ। তারা সবাই আন্তঃজেলার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যাত্রীদের ভাষ্যমতে, সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাস ছাড়ে। রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে বাসে ডাকাতি শুরু হয়। তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি শেষে ঘুরিয়ে একই জায়গায় বাসটি নিয়ে গিয়ে রাত ৩টা ৫২ মিনিটে ডাকাতেরা নেমে যায়।
এরপর বাসের চালক, তার সহকারী ও সুপারভাইজার নানান টালবাহানা করতে থাকে। তারা বলেন, তাদের গাড়িতে তেল নেই। অবশেষে যাত্রীদের চাপের মুখে পড়ে তারা রাজশাহীর উদ্দেশে বাস ছাড়েন। যাত্রীরা প্রথমে বাসটি নিয়ে মামলা করার জন্য টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় যান। সেখানে তখন ওসি ছিলেন না বলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার পরে বাসটি বড়াইগ্রামে থানায় ঢোকানো হয়।
ডাকাতির ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার, চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করে পুলিশ। নাটোরের বড়াইগ্রাম আমলি আদালত সূত্রে জানা যায়, বড়াইগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চালানমূলে বাসের চালক বাবলু ইসলাম (৩৫), চালকের সহকারী সুমন ইসলাম (৩৫) ও সুপারভাইজার মাহবুব আলমকে (৩৮) বুধবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় তাদের আদালতের সামনে হাজির করলে আদালত শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন।
এ ঘটনার তিন দিন পর গতকাল শুক্রবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। বাসের যাত্রী নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ওমর আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।