কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার কাঁঠালিয়া নদীতে সোমবার দুপুরে ট্রলারডুবির ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- জেলার তিতাস উপজেলার রায়পুর গ্রামের আব্দুল মতিন মিয়ার স্ত্রী জুলেখা আক্তার (৫৫), তার নাতি আয়েশা আক্তার (১২) ও মরিয়ম আক্তার (৭)। সন্ধ্যায় মেঘনা থানা ও নৌ-পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় বসবাসকারী একই পরিবারের ১৪ জন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার হাসনাবাদ ট্রলার ঘাটে আসেন। এর পর তারা সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিত একটি ট্রলার ভাড়া করে মেঘনা উপজেলার কাঁঠালিয়া নদীপথে তিতাস উপজেলার দড়িগাঁও গ্রামে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। উপজেলার কাঁঠালিয়া নদীর পুরনো বাটেরা এলাকায় পৌঁছালে কচুরিপানা ও মাছের ঘেরের মধ্যে আটকা পড়ে ট্রলারটির গতি থেমে যায়। এ সময় চালক ট্রলারের গতি বাড়িয়ে চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে ট্রলারের তলা ফেটে যায় এবং ট্রলারটি পানিতে ডুবে যায়। খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের টিম ও স্থানীয় এলাকার লোকজন চেষ্টা চালিয়ে ট্রলারে থাকা ১৩ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জুলেখা আক্তার, আয়েশা আক্তার ও মরিয়ম আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন।
১২ ঘণ্টার ব্যবধানে তুরাগে আরেকটি মৃত শুশুক১২ ঘণ্টার ব্যবধানে তুরাগে আরেকটি মৃত শুশুক
দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মাজহারুল ইসলাম জানান, নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আহতদের দাউদকান্দির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মেঘনা থানার ওসি ছমিউদ্দিন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। এ দুর্ঘটনায় ৩ জন মারা গেছে। যাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের বাড়ি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার রায়পুর গ্রামে।