দেশে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ কমে এলেও নাগরিকদের মাস্ক পরায় অনীহায় সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশেষ করে পর্যটন কেন্দ্র ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে মাস্ক না পরায় সংক্রমণ বাড়তে পারে জানান তিনি। নতুন করে করোনার যেন বিস্তার না হয় সেজন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষ মাস্ক না পরেই ভিড় করছেন, রাজনৈতিক সমাবেশেও মাস্ক পড়ছে না মানুষ। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সভার শুরুতে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন জাহিদ মালেক।
বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারসহ দেশের সব পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের ছিলো উপচেপড়া ভিড়। হোটেলে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় দিন কাটিয়েছেন অনেকে। এমন অবস্থায় মাস্ক পরা তো দূরে থাক কোনো ধরণের স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি।
এছাড়াও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিজয় র্যালিকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে ব্যাপক জনসমাগম হয়েছে। সেখানেও মাস্ক ব্যবহার করেননি প্রায় সবাই।
করোনা টিকার বুস্টার ডোজ সবাইকে দিতে সুরক্ষা অ্যাপ আপডেট করা হচ্ছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘এখন সীমিত আকারে ফ্রন্টলাইনারদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। টিকা গ্রহণের কার্ড নিয়ে ষাটোর্ধ্ব ও ফ্রন্টলাইনাররা টিকা দিতে পারবেন।’
দেশে এখনও ওমিক্রন ছড়ায়নি জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘ওমিক্রন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’
এ পর্যন্ত করোনা টিকার প্রথম ডোজ ৭ কোটি ও দ্বিতীয় ডোজ সাড়ে ৪ কোটি মানুষকে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৬০ শতাংশ মানুষকে। ৩৫ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘মালদ্বীপ সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি চুক্তি হবে। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার-নার্স নেবে তারা।’