মাদারীপুর থেকে নাজমুল কবীর:
১৯৭৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী সন্ত্রাসীরা বাদ মাগরেব রাজৈর টেকেরহাট বাজারের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদপুর জেলা মুজিব বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার মাদারীপুর মহাকুমার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার সাজাহানকে গুলি করে হত্যা করে।
সরদার সাজাহানের পিতা মরহুম নাসির উদ্দিন সরদার এবং মাতার নাম মরহুমা আলহাজ্ব আমেনা বেগম। তিনি রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের স্বরমঙ্গল গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। এই খালিয়ায় জন্ম নিয়েছেন প্রখ্যাত স্বদেশী আন্দোলনের বিপ্লবী চিত্তপ্রিয় রায় চৌধুরীর তিনি বাঘা যতিনের নেতৃত্বে উড়িষ্যার বালেশ্বরে ১৯১৫ সালে ইংরেজ সৈন্যের সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন।
সরদার সাজাহান স্থানীয় খালিয়া রাজারাম হাইস্কুল থেকে ১৯৬৩ সালে বিজ্ঞান বিভাগের কৃতিত্বের এসএসসি পাশ করেন, মাদারীপুর নাজিম উদ্দীন কলেজ থেকে আইএসসি, ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসসিতে ভর্তি হন। এই সময়ে সাংবাদিক আমির হোসেনের মাধ্যমে আঃ রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদের ও শেখ শহীদুল ইসলামের সংস্পর্শে এসে ছাত্রলীগ রাজনীতিতে জড়িয়ে পরেন।
আমির হোসেন ইত্তেফাক পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হলে ইউনিভার্সিটির রিপোর্টার হিসেবে সরদার সাজাহানকে নিয়োগ দেন। এর পূর্বে আমির হোসেন ঐ পদে ছিলেন। আমির হোসনের বদৌলতে লেখালেখির জগতে সরদার সাজাহান অতি দ্রুত খ্যাতি অর্জন করেন। সংগ্রামী কর্ম উদ্দীপনা ও লেখালেখির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর মন কেড়ে নেন
সরদার সাজাহান ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত থেকে মুজিব বাহিনীর ট্রেনিং গ্রহণ করে ফরিদপুর জেলার ডেপুটি কমান্ডার নিযুক্ত হন অন্য জন ছিলেন শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর জেলা কমান্ডার ছিলেন শেখ শহীদুল ইসলাম।
১৯৭৩ সালে মাদারীপুর মহাকুমার আওয়ামী লীগের সম্মেলনে মৌঃ আচমত আলী খান সভাপতি, সাংবাদিক আমির হোসেন সাধারণ সম্পাদক ও সরদার সাজাহান সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।