
স্পোর্টস ডেস্ক
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এক আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় ছাড়া বাকি দুই ম্যাচে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে টাইগাররা। তবে পরাজয়ের বৃত্ত ভেঙে ভারতের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা বাংলাদেশের। পুনেতে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ) স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে।
পুনেতে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে ৪১তম ওয়ানডে ম্যাচটি খেলতে নামবে বাংলাদেশ। এর আগের ৪০ লড়াইয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে স্বাগতিক ভারত। রোহিতরা মোট ৩১টি ম্যাচে টাইগারদের পরাজিত করেছে। বিপরীতে বাংলাদেশের জয়ের সংখ্যা মাত্র ৮। এ ছাড়া দুদলের একটি ম্যাচ বাতিল হয়েছে। তবে সবশেষ ৪ বারের সাক্ষাতে এগিয়ে রায়েছে টাইগাররা। সাকিবদের ৩ জয়ের বিপরীতে কোহলিদের জয় মাত্র একটি। গত নভেম্বরে দেশের মাটিতে ২-১ ব্যবধানে হারানোর পর এশিয়া কাপেও দারুণ এক জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত চারবার দেখা হয়েছে দুই দলের। তাতেও এগিয়ে ভারত। ২০০৭ সালে দুইদলের প্রথম সাক্ষাতেই কেবল জয় পায় টাইগাররা। এরপর থেকে বাকি তিন ম্যাচেই ছিল পরাজয়।
দুই দলের মুখোমুখি দ্বৈরথে সর্বোচ্চ রান ভারতের। সর্বশেষ দেখায় ইশান কিষানের ডাবল সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪০৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। আর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৩০৭। মুস্তাফিজুর রহমানের অভিষেক ম্যাচে মিরপুরে সেই রান করেছিল বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত রেকর্ডে ইশান কিষানের ২১০ সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ১২১ রান এসেছিল লিটন দাসের ব্যাট থেকে, ২০১৮ এশিয়া কাপের ফাইনালে।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, অলক কাপালি এবং মেহেদী হাসান মিরাজ পেয়েছেন ১টি করে শতক। অন্যদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪টি শতক আছে কোহলির। এরপরই আছেন রোহিত শর্মা। ৩টি শতকের মালিক তিনি।
সবচেয়ে বেশি রানের ক্ষেত্রেও এগিয়ে কোহলি। টাইগার বোলারদের বিপক্ষে ৮০৭ রান আছে তার। বিপরীতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সাকিব আল হাসান। ভারতের বিপক্ষে তার রান ৭৫১।
সবচেয়ে বেশি উইকেটের তালিকায় এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সাকিব আল হাসান নিয়েছেন ২৯ উইকেট। এরপরেই আছেন মুস্তাফিজ। তার উইকেট ২৫টি। সেরা চারে নেই কোন ভারতীয়। পাঁচ নাম্বারে আছে অজিত আগারকারের নাম। ভারতীয় দলের বর্তমান প্রধান নির্বাচকের নামের পাশে উইকেট আছে ১৬টি।