
আমার কাগজ প্রতিবেদক
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল কাজীর (৫৯)। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে তার চিকিৎসায় ১৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল।
শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর বনানীর বাসায় বাথরুমে ধূমপান করতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হন জাতীয় কবির নাতি বাবুল কাজী। পরে দগ্ধ অবস্থায় স্বজনরা তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে।
সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তার বোন খিলখিল কাজী বলেন, ‘বাবুল বাথরুমে ঢুকেছিলেন। পরে ধূমপান করার জন্য লাইটার জ্বালাতেই একটা বিরাট আওয়াজ হয় এবং বিস্ফোরণে দগ্ধ হন। তিনি নিচে পড়ে যান। কোনোমতে বাথরুমের দরজা খোলেন। সঙ্গে সঙ্গে তার স্ত্রী-সন্তানরা ছুটে যান। তারা দেখেন একেবারে দগ্ধ। পুরো মাথা, মুখ ও শরীর দগ্ধ হয়ে গেছে। আমি পাশের রোডে থাকি। ফোন পেয়ে ছুটে আসি। অ্যাম্বুলেন্স ডেকে বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাই।’
১৮৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্ম নেওয়া কাজী নজরুল ইসলাম ২৫ বছর বয়সে কলকাতায় প্রমীলা দেবীকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে চার ছেলে সন্তানের জন্ম হয়, যাদের মধ্যে প্রথম সন্তান কৃষ্ণ মোহাম্মদ মারা যায় খুব ছোট বয়সে। দ্বিতীয় সন্তান অরিন্দম খালেদ বুলবুলের মৃত্যু হয় মাত্র চার বছর বয়সে। অপর দুই সন্তানের মধ্যে কাজী সব্যসাচী ও কাজী অনিরুদ্ধ কেউই দীর্ঘায়ু পাননি।
আবৃত্তিকার কাজী সব্যসাচী ও উমা কাজীর ছেলে তিন সন্তানের মধ্যে সবার ছোট বাবুল কাজী। তার বড় দুই বোন খিলখিল কাজী ও মিষ্টি কাজী। তারা বাংলাদেশের নাগরিক। জাতীয় কবির আরেক ছেলে কাজী অনিরুদ্ধের পরিবারের বসবাস কলকাতায়। তার স্ত্রী কল্যাণী কাজী লেখক ও সংগীতশিল্পী।