ফেনী প্রতিনিধি
ফেনীতে সেনাবাহিনীর দখলদারিত্ব জোরপূর্বক ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে এলাকাবাসির মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আজ শুক্রবার বেলা তিনটা ফেনী সাহেব বাজার সংলগ্ন রাস্তার উপর অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন ধর্মপুর মজলিশপুর বিরিঞ্চি আমিনবাজার সাহেব বাজার সহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী। মানববন্ধনে প্রায় তিন হাজার লোক অংশগ্রহণ করেন। এতে নারী পুরুষ সমান ছিল।
এডভোকেট এরশাদ আলী ভূঁইয়ার সঞ্চালনা, বক্তব্য রাখেন, এনামুল হক, জয়নাল আবদীন, জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান, তসলিম উদ্দিন, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ভূয়া, সিরাজুল হক। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পূর্বে যেভাবে বাৎসরিকভাবে শতাংশ হারে লিস্ট দেওয়া হয়েছে সেভাবে লিজ দিতে হবে মাসিক কোন ভাড়া দেওয়া দিবে না। সেনাবাহিনী ওয়ারেন্ট অফিসার আক্তার দ্বারা ভয়-ভীতি প্রদর্শনও হয়রানি বন্দের অভিযোগ করেন, প্রত্যেক বাসায় রুমে রুমে ঢুকে মা বোনদের কে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ জানান এই হয়রানি বন্ধ না হলে এলাকাবাসী পরবর্তী আরো বৃহৎ কর্মসূচি দিবে বলেও ঘোষণা করেন। বক্তারা আরো জানান সেনাবাহিনী যে সীমানা নির্ধারণ করেছেন এই সীমান তাদের মনগড়াভাবে করেছেন, সীমানা করতে হলে জেলা প্রশাসন ভূমি অফিসকে সমন্বয় করে যৌথভাবে সীমানা নির্ধারণ করার জোর দাবি জানান, জয়নাল আবদিন নামে এক বক্তা বলেন এ জায়গা সিএসএ আমার বাপ দাদা পূর্বপুরুষ মালিক ছিল,এ জায়গা আমাদের আমরা এই জায়গার দেবোনা রক্ত দেবো তবুও ভুমি দেব না।
সিরাজুল হক নামের বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের বন্ধু বিপদে-আপদে দেশ রক্ষার্থে আমরা সেনাবাহিনীকে পেয়ে থাকি এখনো আমরা চাই আইন মোতাবেক এ জায়গা আমাদেরকে লিজ দেওয়া হোক, আমরা ডিসিম শতাংশ হারে টাকা দিয়ে দেব তাও আমাদেরকে ভিটা ছাড়া করবেন না, আমরা লক্ষ লক্ষ টাকা এ জায়গার মধ্যে ইনভেস্ট করেছি আমরা কোথায় যাব বলেন, আমরা আপনাদের কাছে এই দাবী জানাচ্ছি আগের মত করে আমাদেরকে এই জায়গা বাৎসরিক হারে শতাংশ হিসেবে লিজ দেওয়া হোক।
মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, কয়দিন আগে বৈষম্যয় আন্দোলনে আমাদের ছেলেদের রক্তের এখনো দাগ শুকানি এর পরবর্তীতে বন্যায় আমরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি বন্যার পরবর্তী কোনো রকম ঘর দুয়ার ঠিক করেছি এর মাঝে সেনাবাহিনী ভাইয়েরা ওই ঘরে গিয়ে মাসিক ভাড়া ধার্য করেছে আমরা কিভাবে থাকবো এই বিচার প্রধান উপদেষ্টার কাছে দিলাম।
তসলিম উদ্দিন নামে আরেক বক্তা বলেন এই দেশে ১২ লক্ষ রোহিঙ্গার জায়গা হবে তারা স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে ছলতেছে ভূমি দিয়েছে কিন্তু আমি বাংলাদেশের দেশের নাগরিক হয়ে, কেন আমার জায়গায় আমি থাকতে পারবো না, কেন আমার শত বছরের বসবাসের জায়গা ভাড়া ধার্য করা হয়েছে, বিধি মোতাবেক আপনারা লিস্ট দেন, পূর্ব দিয়েছি এখনো দেব কিন্তু কোন মাসিক ভাড়া আমরা দিতে পারবো না।
মানববন্ধন শেষে বক্তারা জানান, এই মানববন্ধন থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি মেলেটারি এস্টেট প্রধান উপদেষ্টা সেনাপ্রধান বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে।