ফেনী প্রতিনিধি
ফেনীতে ঝুঁকির মুখে থাকা শতবর্ষী দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। এ সময় তিনি প্রতিষ্ঠান দুটির জরাজীর্ণ ভবন স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন এবং উদ্বেগের কথা জানান।
প্রতিষ্ঠান দুটি হলো ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং ফেনী সরকারি কলেজ।
আজ রোববার প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পরিদর্শনে আসেন। সাথে ছিলেন দৈনিক আমার কাগজ সম্পাদক ফজলুল হক ভূইয়া রানা। এ সময় ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী ইসরাত নুসরাত সিদ্দিকী এবং ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মুক্তার হোসেন।
প্রসঙ্গত, সংশ্লিষ্টদের খামখেয়ালীর কারণে প্রতিষ্ঠান দুটির ভবন মেরামত এবং সংস্কারের কাজ আটকে আছে। পরিকল্পনা কমিশন থেকে আগামী জুনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশনা থাকলেও সেটি শুরুই করা যায়নি। এমনকি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের গাফলতি এবং দায়িত্বহীনতার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও আমলাতান্ত্রিক মারপ্যাঁচে সেটিও চাপা পড়ে আছে। বরং সংশ্লিষ্টরা এখন নতুন করে ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) প্রণয়নের কথা বলছেন। এর জন্য দোহাই দেয়া হচ্ছে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি। অথচ এরই মধ্যে জরাজীর্ণ ভবনের একটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানেই চলছে পাঠদান।
এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন উদ্যোগী হয়ে একাধিকবার তাগাদা দিলেও কোনো সুফল মিলেনি বলে অভিযোগ মিলেছে। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠান দুটি সরেজমিন পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।