
আমার কাগজ প্রতিবেদক
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি, সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবৈধ সংসদ বাতিলসহ এক দফা দাবী আদায়ে বিজয়নগর থেকে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে কালো পতাকা বিক্ষোভ মিছিল শুরু হলে পল্টন আল-রাজী কমপ্লেক্সের সামনে পুলিশী বাঁধার মূখে পড়ে।
এ সময় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, তথাকথিত ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ভুয়া সাংসদদের নিয়ে আজ অবৈধ সংসদ অধিবেশন বসছে। এই নীতিবর্জিত প্রহসনের সংসদকে দেশবাসীসহ সমস্ত গণতান্ত্রিক বিশ্ব নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছে। আমরা দাবী জানাচ্ছি এই সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা হোক।
বক্তারা বলেন, প্রহসনের মাধ্যমে এই জালিয়াতির নির্বাচন গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেশকে বাকশালি ধারায় ফিরিয়ে এনেছে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার মূল চেতনা গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে দেশের জনগণ লড়াই চালিয়ে যাবে।
বক্তারা আরো বলেন, ইতিহাসের ভয়াবহতম বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ! মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীদের দ্বারা গণতন্ত্র বিলুপ্ত, মুক্তিযুদ্ধের সহায়তাকারী বন্ধুরাষ্ট্র কর্তৃক স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে এবং তথাকথিত উন্নয়নের নামে শেখ হাসিনার পরিবার ও আওয়ামী সিন্ডিকেট লুটেরারা লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকে রক্তশূন্য ফ্যাকাসে রোগী বানিয়ে ফেলেছে। ব্যাংকগুলো খোকলা করে ফেলেছে।
বিদেশি ঋণের পাহাড়ের নিচে দেশকে দেউলিয়া বানানোর নব্বইভাগ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়ে গেছে।
সরকার ও আওয়ামী লীগের দেশ বিরোধী রাষ্ট্র বিধ্বংসী নিষ্ঠুরতম কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে গনতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদের সকল পথ ও উপায় বন্ধ করে দিয়ে দেশে ভারতীয় তাবেদার একদলীয় শাসনের বাকশাল পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হচ্ছে!
গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করতে স্বাভাবিক ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের সকল পথ ও উপায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন জাতির সামনে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেয়া ছাড়া মুক্তির কোনো বিকল্প পথ নেই।
মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক শ্লোগান “পিন্ডির দাসত্ব শৃঙ্খল ভেঙ্গেছি দিল্লির গোলামির শৃঙ্খলও ভাঙ্গবো ।
ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের জনগন শেখ হাসিনার বাকশালি শাসন এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করবে। স্বাধীনতা রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত জনগণের আন্দোলন চলবে।
বক্তব্য রাখেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. শফি উদ্দিন ভূঁইয়া, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিমসহ ১২ দলীয় ও জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।