দুই বছরের স্থবিরতা কাটিয়ে জেগেছে বৈশাখ। অনুষ্ঠিত হচ্ছে ছায়ানটের বর্ষবরণ ১৪২৯। বৃহস্পতিবার সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রমনার বটমূলে অনুষ্ঠানের সূচান হয়। এর পরপরই পরিবেশন করা হয় সম্মেলক কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত ‘মন, জাগ’ মঙ্গললোকে’।
অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশ ঘিরে রয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এবার ৩৭টি আয়োজন দিয়ে ছায়ানটের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পঞ্চকবির গান, ব্রতচারীদের ‘বাংলা ভূমির প্রেমে আমার প্রাণ হইল পাগল’, লোকগান ‘নাও ছাইড়া দে মাঝি, পাল উড়াইয়া দে’ প্রভৃতি। সঙ্গে থাকছে আবৃত্তি-পাঠের মতো বিষয়গুলোও।
এবারের পরিবেশনে অংশ নিচ্ছেন ৮৫ জন শিল্পী । শিল্পীদের এ সংখ্যা আগে প্রায় দেড়শ ছিল।
রাজধানীতে ১৯৬৭ সালে প্রথম রমনার বটমূলে পয়লা বৈশাখে সূর্যোদয়ের সময় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ছায়ানট। সেই অনুষ্ঠানই মূলত বর্ষবরণের সাংস্কৃতিক উৎসবকে সারা দেশে বিস্তারিত হতে প্রেরণা সঞ্চার করেছে।
সেই থেকে (১৯৬৭) পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের একটা অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গও হয়ে উঠেছে ছায়ানটের বর্ষবরণের রেওয়াজ। এরপর কেবল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বৈরী পরিবেশের কারণে অনুষ্ঠান হতে পারেনি। ২০০১ সালে এ গানের অনুষ্ঠানে জঙ্গিরা ভয়াবহ বোমা হামলা করলেও অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েনি।