
আমার কাগজ ডেস্ক
অবশেষে সরিয়ে দেয়া হলো নারায়ণগঞ্জের সেই বিতর্কিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মাহমুদুল হককে। সেখানে নতুন ডিসি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে খাগড়াছড়ি ও রাজবাড়ীতে দেয়া হয়েছে নতুন জেলা প্রশাসক।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অর্থ বিভাগের উপসচিব এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার খাগড়াছড়ি, রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিয়াকে নারায়ণগঞ্জ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুলতানা আক্তারকে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বদলি বা পদায়ন করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের বর্ণিত কর্মকর্তাদের তাদের নামের পাশে বর্ণিত জেলায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রসঙ্গত, মোহাম্মদ মাহমুদুল হক ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই নারায়ণগঞ্জে ডিসি হিসেবে যোগ দেন। সে সময় থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে দলীয় ক্যাডার বনে যান। দু’হাতে কামান দেদারছে অর্থ। গত বছর জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে নারায়ণগঞ্জে যে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে তার নেপথ্যে ডিসির ভ‚মিকা ছিল বিতর্কিত। অথচ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর তিনি রয়ে যান অধরা। প্রশাসন থেকে আওয়ামী সুবিধাভোগীদের বিদায়ের তোড়জোর চললেও ম্যানেজপটু এ কর্মকর্তা থেকে যান স্বপদেই। প্রায় পাঁচ মাস পর অর্থাৎ গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে নারায়ণগঞ্জে নতুন ডিসি নিয়োগের আদেশ জারি হয়েছিল। সে আদেশে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমানকে নারায়ণগঞ্জ জেলায় বদলি করা হয়। মাহমুদুল হককে বদলি করা হয় মহাব্যবস্থাপক (উপসচিব) জীবন বীমা কর্পোরেশন হিসেবে।
অথচ ৬ জানুয়ারি সেই আদেশ সংশোধন করে মাহমুদুল হককে নারায়ণগঞ্জেই রাখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে দৈনিক আমার কাগজ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের একদিন পরই নারায়ণগঞ্জ পেল নতুন ডিসি।