বিনোদন প্রতিবেদক
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে দেখা করেছেন শিশুশিল্পী সিমরিন লুবাবা। গতকাল বুধবার ডিবি কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ করেন তারা। এ তথ্য জানিয়েছেন লুবাবার মা জাহিদা ইসলাম।
লুবাবার মা জানিয়েছেন, গতকাল বুধবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে যান তারা। এ সময় ডিবিপ্রধান হারুনের সঙ্গে দেখা করেন।
কেন ডিবি কার্যালয়ে গেলেন? এমন প্রশ্নে লুবাবার মা বলেন, তেমন কিছু না। এমনি এসেছিলাম। এই পথ দিয়েই যাচ্ছিলাম, ভাবলাম হারুন ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে যাই।
যদিও সূত্রে জানা গেছে, ফেসবুকে লুবাবার নামে একের পর এক ফেক অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে। এ ছাড়া লুবাবার নামে টিকটক অ্যাকাউন্টও খোলা হয়। এ সংক্রান্ত আইনি সেবা নেওয়ার জন্য লুবাবা ডিবি কার্যালয়ে যান।
উল্লেখ্য, প্রখ্যাত মঞ্চ ও টেলিভিশন অভিনেতা আব্দুল কাদেরের নাতনি সিমরিন লুবাবা। দাদার অনুপ্রেরণায় খুব অল্প বয়সেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছে। এর পর শিশুশিল্পী হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। নিয়মিত কাজ করেছে বিজ্ঞাপনেও। বর্তমানে একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছাত্রী লুবাবা। কেজিতে পড়ার সময় প্রথম শিশুশিল্পী হিসেবে বিজ্ঞাপনের মডেল হয় সে। এর পর বিভিন্ন নাটক, শর্টফিল্মেও কাজ করেছে।
প্রয়াত অভিনেতা আব্দুল কাদেরের নাতনি সিমরিন লুবাবা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি দেখে একটি বক্তব্য দিয়েছিল লুবাবা। যা ভাইরাল হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে। আর এমন পরিস্থিতি মেনে নিতে পারছে না এই শিশু শিল্পী।
লুবাবার মা জাহেদা ইসলাম জেমি বলেন, ‘আমার মেয়ের বয়স অনেক কম। এখনই যে ধরনের সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে, তা বড়রাই গ্রহণ করতে পারে না। আমি মা হয়ে সেটা বুঝতে পারছি। মেয়েটা ডিপ্রেশনে ভুগছে। যদি এমন চলতে থাকে তাহলে দ্রুতই তাকে মিডিয়া থেকে সরিয়ে নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে “কেন্দে দিয়েছে” বলেছে আর এতেই সমালোচনা শুরু করেছে কিছু মানুষ। লুবাবার নানি মানে আমাদের পূর্বপুরুষ ইরান ও ভারতের। ফলে ভাষায় ওইসব অঞ্চলের টান থাকবে এটা স্বাভাবিক। এটা নিয়ে একটা বাচ্চা মেয়েকে এভাবে আক্রমণ করার কোনো মানে হয় না। আমি শিগগিরই আইনি ব্যবস্থা নেব।’
উল্লেখ্য, ‘মুজিব’ সিনেমা দেখে সংবাদকর্মী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সঙ্গে কথোপকথনের এক পর্যায়ে লুবাবা বলেন ‘কেন্দে দিয়েছি’। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সেই ভিডিও’র অংশটি। তারপর থেকেই ট্রল করা হচ্ছে লুবাবাকে নিয়ে। যা এখনো চলমান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা দেখে শিশুশিল্পী সিমরিন লুবাবার একটি বক্তব্য অন্তর্জালে ভাইরাল হয়। যা নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন লুবাবার মা জাহেদা ইসলাম জেমি।
তিনি জানান, লুবাবা বক্তব্য নিয়ে ট্রল হচ্ছে নেটদুনিয়ায়। তার মেয়ে বর্তমানে ডিপ্রেশনে ভুগছে। আর এমনটি চলতে থাকলে লুবাবাকে মিডিয়া থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলল লুবাবা। তার বক্তব্য, ‘একটা ছোট্ট কথা যে এভাবে ছড়িয়ে যাবে, তা আমি ভাবিনি। এই ছোট্ট জিনিস নিয়ে এত ট্রল করা হচ্ছে- এটা লজ্জার ও অবাক করার বিষয়। স্কুলে বা বাইরে গেলেই শুনতে হচ্ছে “কেন্দে দিয়েছি”, “কেন্দে দিয়েছি”, এটা শুনে কষ্ট লাগে। ছোট্ট একটা ভুলের জন্য যে মানুষ এভাবে টিজ করবে- এটা ভাবিনি। কেন্দে দিয়েছি, কান্না করেছি- কথা দুটি তো একই লাগে।’
লুবাবা আরও বলে, ‘আমাকে সবাই বলে আমি পাকনা পাকনা কথা বলি। আবার বলে আমি ঠিকভাবে কথা বলতে পারি না। আমি কোন দিকে যাব। আমি যে ভুলটা করেছি, এটা যে এভাবে ভাইরাল হয়ে যাবে তা ভাবিনি। সবাই যখন টিজ করে তখন তো একটু কষ্ট লাগবেই।’
মিডিয়া ছাড়ার প্রসঙ্গে এই শিশুশিল্পীর ভাষ্য, ‘আমি চিন্তা করে দেখলাম, এমনটা ঠিক হবে না। ভারতের মানুষরা চায় একটা মানুষ এগিয়ে যাক। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষরা তা চায় না। ঘুড়ি যদি নিচে টান দেওয়া হয় তাহলে সেটি কিন্তু ওপরে চলে যায়, নিচে নামে না। আপনাকে সেই ঘুড়িটাই হতে হবে।’
‘মুজিব’ সিনেমার প্রসঙ্গ টেনে লুবাবা বলে, ‘মুজিব সিনেমাটি এত ভালো করে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটা কে না দেখে কাঁদবে, এটা কি হাসির ছবি? আমার যেটা ভালো লেগেছে আমি তো সেটাই বলব। যদি ছবিটা দেখে আমি কেঁদে দেই, তাহলে আমার কষ্ট লাগবে। আর আমি এটাই বোঝাতে চেয়েছি।’
ক্যারিয়ারে এমন একটা সিনেমা করতে চায়, যেটা দিয়ে সবাই তাকে এক নামে চিনবে- এমনটাই লুবাবার ইচ্ছা।
উল্লেখ্য, ‘মুজিব’ সিনেমা দেখে সংবাদকর্মী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সঙ্গে কথোপকথনের এক পর্যায়ে লুবাবা বলেন ‘কেন্দে দিয়েছি’। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সেই ভিডিও’র অংশটি। তারপর থেকেই ট্রল করা হচ্ছে লুবাবাকে নিয়ে। যা এখনো চলমান।