লা লিগায় গ্রানাদাকে হারিয়ে জয়ে ফিরলো রিয়াল মাদ্রিদ। গ্রানাদার বিপক্ষে ১-০ গোলের কষ্টের জয় পেয়েছে দলটি। এর ফলে পয়েন্ট টেবিলে সেভিয়ার চেয়ে ৬ পয়েন্টে এগিয়ে গেল রিয়াল। দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন মার্কো আসেনসিও। রবিবার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে লা লিগার এ ম্যাচে প্রথম ২০ মিনিটে রিয়াল ৭৫ শতাংশ বল দখলে রাখলেও আক্রমণে তেমন সফলতা দেখাতে পারছিল না। এই সময়ে গোলের উদ্দেশে কোনো শটই নিতে পারেনি দলটি।
গ্রানাদা ৩০ মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলে গোল পেতে পারত। টনি ক্রুসের দারুণ ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে শট নেন দানি কারভাহাল, ঠেকাতে পা বাড়ান ডিফেন্ডার নেভা। তার পায়ে লেগেই বল ক্রসবারে বাধা পায়।
৪৩ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ পায় রিয়াল। তবে আসেনসিওর বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক লুইস মাক্সিমিয়ানো। কয়েক সেকেন্ড পেয়ে ডি-বক্সে বল পেয়ে জোরাল ভলি মারেন ইসকো, তবে বল চলে যায় গোলরক্ষক বরাবর। প্রথমার্ধে দলটির এই দুটি শটই লক্ষ্যে ছিল।
বিরতির পরও ভাল খেলে রিয়াল। কিন্তু করিম বেনজেমা ও ভিনিসিউস জুনিয়রের অনুপস্থিতিতে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে একজন কার্যকর স্কোরারের শূন্যতা বারবার ফুটে ওঠে প্রকটভাবে। ৬১ মিনিটে আসেনসিওর আরেকটি শট ঠেকিয়ে দেন মাক্সিমিয়ানো।
বিলবাওয়ের বিপক্ষে দল আক্রমণে চরম ব্যর্থ হলেও এদেন আজার-লুকা ইয়োভিচদের বদলি না নামানোয় সমালোচনার মুখে পড়েন আনচেলত্তি। এদিন আর কোনো দ্বিধা করেননি তিনি। ৬৫ মিনিটে রদ্রিগোকে তুলে বেলজিয়ান ফরোয়ার্ডকে ও ইসকোর জায়গায় ইয়োভিচকে নামান কোচ।
অবশেষে ৭৪ মিনিটে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এই দফায় প্রথম আক্রমণ ভেস্তে যাওয়ার পর এদের মিলিতাও ডি-বক্সের বাইরে প্রতিপক্ষের একজনের থেকে বল কেড়ে আরেকটু পেছনে আসেনসিওকে বাড়ান। জায়গা বানিয়ে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে শটে দলকে এগিয়ে নেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
১০ মিনিট পর আরেকটি দারুণ সুযোগ তৈরি করেন আসেনসিও। তবে এবার তার শটটি ঝাঁপিয়ে ঠেকাতে ভুল করেননি ম্যাচজুড়ে ব্যস্ত সময় কাটানো মাক্সিমিয়ানো।
প্রথমার্ধে কেবল চারটি শট নেওয়া রিয়াল এই অর্ধে নেয় আরও ২০টি শট। সব মিলিয়ে মোট ১১টি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। ঘর সামলাতে ব্যস্ত গ্রানাদা পুরো ম্যাচে নিতে পারে সাতটি শট, যার তিনটি লক্ষ্যে। এই তিনটিই বিরতির আগে। এতেই দ্বিতীয়ার্ধে চিত্র ফুটে ওঠে।
আসরে প্রথম দেখায় গত নভেম্বরে গ্রানাদার মাঠে ৪-১ গোলে জিতেছিল রিয়াল।
২৩ ম্যাচে ১৬ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছেন রিয়াল। সেভিয়ার পয়েন্ট ৪৭। তিন নম্বরে রিয়াল বেতিসের পয়েন্ট ৪০।