আমার কাগজ প্রতিবেদক
তীব্র গ্যাস সংকটের জেরে গাড়িতে জ্বালানি ভরতে গিয়ে নাকাল হচ্ছেন রাজধানীর যানবাহন চালকরা। গ্যাসের জন্য সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাখালীর ইউরেকা এন্টারপ্রাইজের সামনে গ্যাসের জন্য অপেক্ষমাণ যানবাহনের সারি মহাখালী রেলগেট অতিক্রম করে পৌঁছে গেছে এয়ারপোর্ট রোডে। এতে মহাখালী রেলগেট এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সিএনজি স্টেশনের সামনে গ্যাসের জন্য অপেক্ষমাণ এক সিএনজি অটোরিকশা চালক জানালেন গত ঈদুল আজহার পর থেকেই এ অবস্থা। প্রতিদিনই গ্যাস নিতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
সিএনজি স্টেশনটির এক কর্মী জানালেন বেশ কিছুদিন ধরেই এই অবস্থা চলছে। গ্যাস আসলেও চাপ খুব কম। যানবাহনের লম্বা সারির কারণ সম্পর্কে জানালেন আশপাশের অনেক সিএনজি স্টেশনেই গ্যাস না থাকায় এই স্টেশনে ভিড় করেছেন যানবাহনের চালকরা।
এদিকে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাতে আনোয়ারা-ফৌজদারহাট ৪২ ইঞ্চি পাইপলাইন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মহেশখালী ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে এলএনজি সরবরাহ কমে ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমেছে। এতদিন গড়ে ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছিল। সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশব্যাপী গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা জানান, একটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে গড়ে ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হলেও মঙ্গলবার রাতে পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে এলএনজির সরবরাহ কমে ২৫০ থেকে ২৭০ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমেছে। এতে ঢাকা ও কুমিল্লা অঞ্চলগুলোয় এলএনজির সরবরাহ বন্ধ থাকায় গ্যাস সংকট কিছুটা বেড়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে পেট্রোবাংলার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় গ্যাস গ্রিডের আনোয়ারা-ফৌজদারহাট ৪২ ইঞ্চি পাইপলাইন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের কারণে মহেশখালী ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে এলএনজি সরবরাহ কমে গেছে। ফলে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এবং তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিতরণ এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করবে।