বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল উদ্ধারে শুরু হয়েছে অভিযান। গতকাল রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান চলবে ছয় দিন। অভিযানের প্রথম দুই দিনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের লোহারপুর এলাকা থেকে অভিযান শুরু হয়। বিকাল পর্যন্ত চলা এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. মামুনুর রশীদ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের যৌথভাবে চালানো এই অভিযানে সোমবার দুটি ছয় তলা বাড়ি, দুটি পাঁচ তলা বাড়ি, একটি তিন তলা বাড়ি, চারটি চার তলা বাড়ি, একটি দুই তলা বাড়ি ও দুটি একতলা বাড়ি উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া ১০টি সেমিপাকা, একটি টিনের ঘর, দুটি পাকা দোকান ও ০ দশমিক ৫ একর জমি উদ্ধার করা হয়। অভিযানে সব মিলিয়ে ২৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
এর আগে রবিবার হাজারীবাগ, লালবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় চলা অভিযানে মোট ২৬টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এদিন কামরাঙ্গীর চর লোহারপুলের আশপাশের এবং শহীদনগর এলাকার ছয়টি পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্যে দুটি চারতলা, একটি তিনতলা, একটি ছয়তলা বাড়ির আংশিক, একটি দোতলা এবং একটি একতলা ভবন ভাঙা হয়। এছাড়া পাঁচটি সেমিপাকা বাড়ি, ১৩টি টিনের ঘর ও দুটি পাকা দেয়াল ভাঙা হয়। এতে প্রায় এক একর ভূমি দখলমুক্ত হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদ বলেন, দুই দিনের অভিযানে তেমন কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। এসব জায়গায় বাড়ি করা ব্যক্তিরা সব সময় নিজেদের মালিক দাবি করেছেন। আইনের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিআইডাব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের (সদরঘাট) যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী জানিয়েছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা জায়গা দখল করে আছেন তাদের আগে থেকেই জানানো হয়েছে। ২৩ ডিসেম্বর (গত বৃহস্পতিবার) অভিযানের বিষয়ে মাইকিং করে জানানো হয়।