খুলনায় প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ছাড়াও কোনো দলেই আশানুরূপ নারীর অংশগ্রহণ নেই। দলের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী রাখার যে বিধান নির্বাচন কমিশন থেকে বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সেটিও কোনো দলই মানেনি। কমিটিতে দু-একজন নারী থাকলেও, তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ পদেই রাখা হয়নি।
আজ সোমবার খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নারীনেত্রীরা। রূপান্তর নামের একটি বেসরকারি সংস্থার ‘নীতিমালা বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা বিনিময়’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভায় তাঁরা এসব কথা বলেন।
সভায় রাজনৈতিক দলের কমিটিগুলোতে ২০২২ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী অন্তর্ভুক্ত করা এবং রাজনৈতিক দলের সম্পাদকমণ্ডলী, বিশেষ করে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক পদগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নারী অন্তর্ভুক্তির বিষয়টির ওপর নারীনেত্রীরা জোর দেন।
বক্তারা বলেন, দলের সংবিধানে নারী অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি থাকলেও, বাস্তবে সেটা পালন করা হচ্ছে না। নারীদের বিভিন্নভাবে কোণঠাসা করে রাখা হচ্ছে। এখন নারীরা রাজনৈতিক দলের বিশেষ গুরুত্ব বহন করলেও কমিটি করার সময় দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোর কোনোটিতেই নারী নেই। তাঁদের মতে, নারীদের সুযোগ না দেওয়া হলে তাঁরা কীভাবে তাঁদের যোগ্যতা প্রমাণ করবেন।
আসন্ন ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলাপর্যায়ের রাজনৈতিক দলের সম্মেলনে নারীদের সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি ২০২২ সালের মধ্যে খুলনার রাজনৈতিক দলের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন তাঁরা।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদিরের সঞ্চালনায় ওই সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ফুলতলা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় নারী উন্নয়ন ফোরামের মহাসচিব ফারজানা ফেরদৌস এবং ‘অপরাজিতা’ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক ফৌজিয়া খন্দকার। রাজনৈতিক দলের কমিটিতে নারীর অংশগ্রহণের পরিস্থিতিবিষয়ক ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ডুমুরিয়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমীনা পারভীন। প্রকল্প উপস্থাপন করেন অপরাজিতা প্রকল্পের সমন্বয়কারী সুবল ঘোষ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন খুলনা প্রেসক্লাব সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন, জাতীয় পার্টি খুলনা জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলাম, বিএনপির খুলনা জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি খুলনা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার উদ্দিন প্রমুখ।