দোকানে থাকা মালিক ও কর্মচারীদের করোনাভাইরাসের টিকার সনদ না থাকলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে সতর্ক করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম আতিক। আগামী ১ মার্চ থেকে সনদ দেখতে দোকানে দোকানে অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার সকালে রাজধানীর সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে গণটিকা কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন মেয়র।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আগামী পহেলা মার্চ ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট এর মাধ্যমে প্রত্যেক দোকানে দোকানে আমরা অভিযানের যাব। গিয়ে আমরা চেক করব আপনাদের কাছে টিকার সনদটি আছে নাকি। যখন টিকা নেবেন তখন অবশ্যই একটি সনদ পাবেন। এই সনদটি সবাই সংগ্রহ করে রাখবেন। যাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের টিকার সনদ না থাকবে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ করতেও টিকার সনদ দেখানো লাগবে। যদি টিকার সনদ না থাকে তাহলে ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ করা যাবে না। সবাইকে টিকা নিতেই হবে। না নিলে সিটি করপোরেশন থেকে কোনো ধরনের সেবা দেব না। ‘নো টিকা, নো সেবা। নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস। সরকার যেখানে বিনা পয়সায় টিকা দিচ্ছে সেখানে আপনি হেলায় টিকা নেবেন না, আপনি এটার কোনো গুরুত্ব দেবেন না এটা একটি অপরাধ। টিকা না নিলে আপনার ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার কোনো যোগ্যতা নাই।’
আজ সকাল থেকেই সারা দেশে ২৮ হাজার বুথে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য এক কোটি মানুষকে আজ টিকা দেওয়া। জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলেও আজ নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে টিকা নেওয়া যাচ্ছে।
আজ টিকা নিতে যাওয়া মানুষকে টিকা না দিয়ে কেন্দ্র বন্ধ হবে না বলে জানিছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম আতিক। তিনি বলেছেন, ‘আজ আমাদের কাছে পর্যাপ্ত টিকা আছে। আমি সবাইকে বলব একটু সুশৃংখলভাবে থাকার জন্য। সবাইকে টিকা না দিয়ে কেন্দ্র বন্ধ হবে না। সবাই টিকা পাবেন।’
দেশে করোনার গণটিকাদান শুরু হয় গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। এরপর থেকে গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত করোনার প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন ১০ কোটি ৮ লাখের বেশি মানুষ। আর এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৮ কোটি ১৭ লাখের বেশি মানুষ।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলম সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারির পর প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া বন্ধ থাকবে। পরে অবশ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারির পরও প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া বন্ধ হবে না। তবে প্রথম ডোজের চেয়ে দ্বিতীয় ও বুস্টার (তৃতীয়) ডোজকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।