ফের বাড়ছে মহামারি করোনা। উচ্চ সংক্রমণের ঝুঁকিতে আছেন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের প্রায় ২ হাজার কয়েদি। তবে তাদের মিলছে না ন্যূনতম চিকিৎসাসেবা।
কারাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কয়েদিদের নিম্নমানের খাবার দেওয়া, ক্যান্টিনের খাবারের দাম বেশি রাখা এবং সঠিকভাবে চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধানে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে এমন ঘটনার সত্যতা মিলেছে।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সালাম আলী মোল্লার নেতৃত্বে অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট টিম।
জানা গেছে, দুদক টিম সরেজমিনে কাশিমপুর কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে কারাগারের রান্নাঘর, ক্যান্টিন ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে।
কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা টিমকে জানান, কারাগারের খাবার সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে সরবরাহ করা হয়। তারা এখানে শুধু রান্না করেন।
দুদক টিম জানায়, খাবারেরর মান আগের তুলনায় ভালো হলেও রান্নাঘরটি বেশ অপরিষ্কার। ক্যান্টিনের খাবার কার্ডের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। তবে কার্ডের বিপরীতে টাকা জমার সময় অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
দুদক টিম কারা হাসপাতাল পরিদর্শনকালে দেখতে পায়, সেখানে তাদের নিজস্ব কোনো ডাক্তার বা নার্স নেই। একজন ডাক্তার প্রেষণে কর্মরত আছেন। হাসপাতালটি উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে না ।
দুদক টিম অভিযানকালে কতিপয় কারারক্ষীর যোগসাজশে কিছু কয়েদির মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দুদক টিম।
দুদক টিম জানায়, কারাগারের রান্নাঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, খাবারের মানোন্নয়ন, পর্যাপ্ত ডাক্তার নার্সসহ সব আধুনিক চিকিৎসা সুবিধাসহ আলাদা ৫০-১০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ এবং কারাগারে কয়েদিদের মোবাইল ফোন সরবরাহের বিষয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবেন তারা।