
স্পোর্টস ডেস্ক
রশিদ খানের চোখেমুখে তখনো অবিশ্বাস! আফগান ড্রেসিংরুমে ভর করেছে রাজ্যের নিস্তব্ধতা। শ্রীলঙ্কা শিবিরে ততক্ষণে ভিন্ন আবহ। সুপার ফোর নিশ্চিত হওয়ার আনন্দ শানাকা-মেন্ডিসদের।
চলতি এশিয়া কাপের দারুণ ব্লকবাস্টার এক ম্যাচ শেষে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিল, সমীকরণের হিসাবটা কি আফগানরা জানতো না? এমন ভুল কিভাবে করল তারা! ধারাভাষ্যকাররাও শেষের প্রায় পুরোটা সময় গলা চেঁচিয়ে বলে গেলেন আফগানদের বোকামোর কথা! সে কথা যদি শুনতেন ফজলহক ফারকী কিংবা আফগান টিম! হয়তো লাহোরে আরেকটি দারুণ জয়ের স্বাক্ষী হতো কাবুলীওয়ালারা।
৩৮তম ওভারের প্রথম বলে মুজিব উর রহমান আউট হওয়ার পরও জেতার সুযোগ ছিল আফগানিস্তানের। সমীকরণ ছিল ধনঞ্জয়ার ডি সিলভার পরের তিন বলে ছয় রান করতে হবে। অর্থাৎ ২৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করা আফগানদের ৩৭.৪ ওভারের মধ্যে করতে হতো ২৯৫ রান।
এমনকি ম্যাচ টাই হওয়ার পর, মানে ২৯১ রান করার পর ছক্কা মারলে সুযোগটি ছিল ৩৮.১ ওভার পর্যন্ত।
কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হল, মুজিব আউট হওয়ার পর মুখোমুখি প্রথম দুই বলেই ডিফেন্স করলেন ফজলহক ফারুকী। এরপর তৃতীয় বলে তো আউটই। অথচ অপর প্রান্তে থাকা রশিদকে চাইলেই কি সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক দিতে পারতেন না ফারুকী? নাকি তারা সমীকরণটাই জানতেন না!
এখানে বলে রাখা ভালো, বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় হারের পর টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে কঠিন সমীকরণ মেলাতে হতো আফগানিস্তানকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুধু জয়ই যথেষ্ট ছিল না। রানরেটের হিসাব-নিকাশও মেলাতে হতো আফগানদের।
প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ২৯১ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। কাজেই, আফগানিস্তানকে সুপার ফোরে যেতে হলে ৩৭.১ ওভারের মধ্যেই নিজেদের জয় নিশ্চিত করতে হতো। সেটা শেষ পর্যন্ত পারেনি তারা নিজেদের হিসেবের গড়মিলে। ৩৭.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান তুলেছে। তাতে ২ রানের জয়ে আসরে টিকে রইলো শ্রীলঙ্কা।