
আমার কাগজ ডেস্ক
ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে রাশিয়া একরাতে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। অন্তত ১৪টি অঞ্চলে আঘাত হানে এ হামলা। এতে একজন নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার (৩০ আগস্ট) ভোর পর্যন্ত রাশিয়া একযোগে ৫ শতাধিক ড্রোন ও ৪৫টি মিসাইল ছুড়ে দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে।
রাজধানী কিয়েভ, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জাপোরিজঝিয়া ও দিনিপ্রো অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক স্থাপনা ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এটি সবচেয়ে বড় আকারের সমন্বিত আক্রমণ।
রুশ সেনাপ্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভ সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনে অভিযান কোনোভাবেই বন্ধ হবে না। বরং প্রায় সব ফ্রন্টলাইনে হামলা আরও জোরদার করা হবে। তার দাবি, ইউক্রেনীয় সেনারা ক্রমশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং রুশ বাহিনীর অগ্রগতি এখন কৌশলগতভাবে সুস্পষ্ট।
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনালাপে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মোদি আসন্ন বেইজিং সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সামনে এ বার্তা পৌঁছে দেবেন।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার নেতাদের মধ্যে সরাসরি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নাও হতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতিতে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা এখনও খোলা রয়েছে।
যুদ্ধের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন অগ্রগতিও সামনে এসেছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন প্রথমবারের মতো কোরীয় সেনাদের রাশিয়ার হয়ে কুর্স্ক অঞ্চলে যুদ্ধের ফুটেজ প্রচার করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি কিম জং উন ও ভ্লাদিমির পুতিনের আসন্ন বেইজিং বৈঠককে ঘিরে নতুন বিতর্ক ও কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এখন শুধু দুই দেশের সীমান্তে সীমাবদ্ধ নেই, বরং এটি এক নতুন বৈশ্বিক শক্তির পাল্টাপাল্টি অবস্থান ও ভূরাজনৈতিক সংঘাতের প্রতীক হয়ে উঠছে।