আমার কাগজ ডেস্ক
রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে আগামী বছরের মধ্যে ইউক্রেনকে কমপক্ষে ৪৩ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো নেতারা। সেই সঙ্গে পশ্চিমা সামরিক জোটে কিয়েভের সদস্যপদ পাওয়া অবশ্যম্ভাবী বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেয়া হয়ে। স্থানীয় সময় বুধবার (১০ জুলাই) ওয়াশিংটনে আয়োজিত ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের পরে চূড়ান্ত ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত অঙ্গীকারগুলো প্রকাশ করা হয়। জোটের সদস্যরাও ইউক্রেন এবং ইউরোপের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আলাদাভাবে এবং যৌথ পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস এবং ডেনমার্ক ঘোষণা করেছে, ন্যাটোর দেয়া এফ-১৬ যুদ্ধবিমান এই গ্রীষ্মের মধ্যে ইউক্রেনের সামরিক পাইলটদের হাতে দেয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্র আরও বলেছে, এটি ২০২৬ সালে জার্মানিতে দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হবে। মিত্ররা বলছে, ইউরোপের জন্য রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় এসব পদক্ষেপ নেয়া হবে। এমন পদক্ষেপটি স্নায়ূযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপীয় মহাদেশ বিশেষ করে জার্মানিতে পাঠানো সবচেয়ে শক্তিশালী মার্কিন অস্ত্র।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার বিমান বাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য ন্যাটোর প্রচেষ্টার প্রশংসা করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এক্স-এ দেয়া বার্তায় জানিয়েছেন, যে নতুন যুদ্ধবিমানগুলো ন্যায্যতার ভিত্তিতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে এবং এসব সন্ত্রাসবাদকে রুখে দেবে।
আল জাজিরার সাংবাদিক মাইক হান্না বলেন, ন্যাটো জেলেনস্কি যা চেয়েছে তার বেশিরভাগই পূরণ করেছে। এর মধ্যে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান এবং কয়েক ডজন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে চারটি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা দিতে সম্মত হয়েছে, যা অন্য ন্যাটো সদস্যদের দেয়া হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট যা চেয়েছিলেন তার বেশিরভাগই তাকে দেয়া হয়েছে। তবে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চাওয়া ছাড়া। আর তা হলো ন্যাটোর সদস্যপদ।
জোটের ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ইউক্রেনের ভবিষ্যত ন্যাটোতেই। ন্যাটো পূর্ণ সদস্যপদসহ ইউরো-আটলান্টিক জোটটিতে সম্পূর্ণ একীভূত হয়ে যাবে। এই দীর্ঘ পথে কিয়েভের পাশেই থাকবে ন্যাটো সদস্যরা। সেখানে বলা হয় যখন মিত্ররা সম্মত হবে এবং কিয়েভ সব ধরনের শর্ত পূরণ করবে তখনই পূর্ণ সদস্যপদ দেয়া হবে।