গার্ড গ্রেড (২) নিয়োগ সংক্রান্ত আদালতে নির্দেশনা না মানায় রেলওয়ের মহাপরিচালক ও চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকসহ (জিএম) পাঁচ রেল কর্মকর্তাকে তলব করেছে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (১)। আদালত অবমাননার অভিযোগে তাদের আগামী ৪ আগস্ট সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
পাঁচ রেল কর্মকর্তা হলেন মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, এডিজি (ওপি) সর্দার শাহাদাৎ আলী, এডিজি (এম অ্যান্ড সিপি) আবদুল্লাহ আল বাকি, পূর্বাঞ্চল মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন ও স্টেশনমাস্টার জাফর আহমেদ।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ আবদুল্লাহ নাঈম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এদিকে বাদীপক্ষের সূত্রে জানা গেছে, গার্ড গ্রেড-২ পদে নিয়োগের জন্য আজ ভাইবা নেওয়া হবে। এরপর যেকোনো সময় তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
জানা গেছে, গত ১৫ জুন গার্ড (২) নিয়োগের পরীক্ষা স্থগিত আদেশ চেয়ে ঢাকা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ১ম দায়রা জজ শেখ ফারুক হোসেনের আদালতে মামলা করেন আব্দুল কাইয়ূম। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পরীক্ষা স্থগিত করেন।
রেলের আইনজীবী আদালতকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণের বিষয়টি জানালে ১৭ জুন পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিলেও মামলার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো নিয়োগ না দেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
এদিক ১৯৮৫ সালের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী স্থায়ী চাকরিরত ১৭১ জনকে বিভিন্ন সময় সরকারি খরচে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় গার্ড হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাদের গার্ড হিসেবে নিয়োগ না দিয়ে বাইরে থেকে নিয়োগের চেষ্টা চালায় রেলওয়ে।
এ ছাড়া ২০২০ সালের নতুন চাকরিবিধি অনুযায়ী তাদের পদোন্নতি বন্ধ রাখে রেলওয়ে। এরপর গার্ড (২) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলে তারা আদালতে মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের পদোন্নতি ও গার্ড হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি সুরাহা না করে বাইরে থেকে গার্ড (২) নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। নতুন গার্ড নিয়োগ দিলে তাদের পদোন্নতি বন্ধ হয়ে যাবে।
আদালত শুনানি শেষে নতুন নিয়োগ না দেওয়ার আদেশ দেন। এরপরও রেলওয়ে আদেশ অমান্য করে নয়জনকে গার্ড পদে কাজের অনুমতি দেয়। বিষয়টি বাদীপক্ষের আইনজীবীর নজরে এলে তিনি আদেশ অবমাননার বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন।
মামলার বাদী আব্দুল কাইয়ূম বলেন, ‘আদালতের স্টে-অর্ডার থাকা সত্ত্বেও পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে অস্থায়ী গার্ড দুজনকে কন্ট্রোল আদেশে (তারবার্তা) কাজ করার অনুমতি দেয় রেলওয়ে। পরবর্তীতে আরও সাতজনকে গার্ড পদে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়। যা আদালতের নির্দেশনা অমান্যের শামিল।’
এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না।