আমার কাগজ প্রতিবেদক
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল জাতীয় সংসদ পাস করার আহ্বান জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। অন্যথায় দেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীতে গণমিছিল শুরু হওয়ার আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগ ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ এক দফা দাবিতে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে থেকে ১২ দলীয় জোটের সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে মিছিলে নেতৃত্ব দেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। মিছিলটি বিজয়নগর পানির ট্যাংকি, কাকরাইল মোড় ঘুরে ফের পানির ট্যাংকির সামনে গিয়ে শেষ হয়।
১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটুর পরিচালনায় মিছিল-পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক দলের (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, ইসলামিক ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা শওকত আমিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদ খান, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির সাধারণ সম্পাদক মানসুর আলম শিকদার, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, যুগ্ম মহাসচিব এ এস এম শামীম, বাংলাদেশ এলডিপির সৈয়দ ইবরাহিম রওনক, এম এ বাশার, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব আমিনুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে আমরা যাব না। এই দাবিতে সব রাজনৈতিক দল ও জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আজকে বর্তমান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে দিয়ে একটা নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি জাতীয় সংসদে আইনের মাধ্যমে পাস করতে হবে।’
জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘এই সরকারের পতন চাই। দেশে চলছে গুন্ডাতন্ত্র। দেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকার নেই। যার প্রমাণ সরকারের একজন বরখাস্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমেরিকার দূতাবাসে গিয়ে আশ্রয় চেয়েছেন। তবে জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন ঘটাবে।’
জাতীয় পার্টির আহসান হাবিব লিংকন বলেন, ‘আজকে দেশের মানুষ এই সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে ঐক্যবদ্ধ। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী আপনি পদত্যাগ করে বিদায় নিন এবং জনগণকে মুক্তি দিন।’
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনি দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছেন। সাধারণ মানুষের দু:খ কষ্ট ও দুর্ভোগ লাঘব না করে শুধু ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে ব্যস্ত হয়েছেন। আপনি দ্রুত পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।’