
আমার কাগজ প্রতিবেদক
দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে ১৫ অক্টোবর সই হতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক জুলাই সনদ। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঐকমত্য কমিশনের সভায় নেয়া হয় এই সিদ্ধান্ত। তবে, দীর্ঘ আট মাস সংলাপ করে চূড়ান্ত সমাধান টানতে না পারলেও নিজেদের ব্যর্থ মনে করছে না সরকার। আর বিশেষজ্ঞের মতে, নির্বাচনের আগে গণভোট কিংবা একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট তৈরি করতে পারে জটিলতা।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার আলোকে রাষ্ট্র সংস্কারে ৮ মাস ধরে চলে জাতীয় ঐকমত্যের কমিশনের সংলাপ। কিন্তু যে রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজি করাতে এতো দীর্ঘ আলোচনা, শেষ দিনেও একমতে পৌঁছতে পারেনি তারা। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটে সম্মত হলেও দিনক্ষণ নিয়ে একমত নয় দলগুলো। জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট চায় বিএনপিসহ কিছু দল। আর জামায়াত ও এনসিপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনের আগেই গণভোটের পক্ষে।
ব্যাপক আলোচনা ও বিশেষজ্ঞ মতামত নেয়ার পরও চূড়ান্ত সমাধানে পৌঁছাতে না পারা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া নানা মহলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ বলেন, জুলাই সনদ ব্যর্থ তখনই হবে, যখন একজনের হাতে ছেড়ে দেয়া হবে। এটা বাস্তবায়নে বিএনপি-জামায়তসহ সব রাজনৈতি দল ও বাংলাদেশ সুশিল সমাজসহ সবাইকে সঙ্গে নিতে হবে।
তবে এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলছেন, একই সাথে গণভোট ও নির্বাচনের ব্যবস্থাপনা কতটা পেরে উঠবে নির্বাচন কমিশন, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
এদিকে, সংলাপকে ব্যর্থ বলতে রাজি নয় সরকার। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার জানান, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও দলগুলোর মতামত সমন্বয় করে পরের সপ্তাহেই সুপারিশ দেবে ঐকমত্য কমিশন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানান, নির্বাচিত বা অনির্বাচিত কোনো সরকার যাতে সৈরশাসক হয়ে উঠতে পারে সেই ব্যবস্থাই নেয়া হয়েছে জতীয় সনদে।
জুলাই সনদ বাস্তবানের প্রক্রিয়া শেষ পর্যন্ত কী হতে যাচ্ছে, তা চূড়ান্ত না হলেও আসছে ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। জানানো হয়, জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।