মাদারীপুর থেকে নাজমুল কবীর:
অফিসের একটি টাকাও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে না। অফিসে চা খেলেও সেটা আমরা নিজের বেতনের টাকা দিয়ে কিনে খাই। সরকারের প্রতিটি বরাদ্দ জনগণের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে হবে বলে জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাদারীপুর শহরের শকুনী লেকপাড়ে অবস্থিত সমন্বিত সরকারি ভবনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ড. মোজাম্মেল। সেখানে দুর্নীতি দমন কমিশনের ‘সমন্বিত জেলা কার্যালয়’ উদ্বোধনের পরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।
ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘জাপানে কোনো দুর্নীতি দমন কমিশন নেই। কারণ সেখানকার মানুষ জানেই না দুর্নীতি বা ঘুষ কী জিনিস। বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরে স্তরে নানা রকম অনিয়ম হচ্ছে। এসব কারণেই এত টাকা বরাদ্দের পরেও দেশে এখনও নানা সংকট। সবাইকেই সাবধান থাকতে হবে। কারণ দুর্নীতি দমন আইন মামলায় পড়লে ১০ বছরেও তার নিষ্পত্তি হয় না।’
দুদকের এই কমিশনার বলেন, ‘মাদারীপুরে এখন অনেক বড় বড় প্রকল্প হচ্ছে। পদ্মা সেতু হওয়ার পরে পুরো জেলার চিত্রই পাল্টে যাবে। সরকার কোটি কোটি টাকা এখানে বরাদ্দ দিচ্ছে। তাই এখানে একটি আঞ্চলিক কার্যালয় জরুরি হয়ে পড়েছিল। মাদারীপুরে দুদকের কার্যক্রম যেন দুর্নীতিবাজদের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠে।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদকের মহাপরিচালক (আইসিটি ও প্রশিক্ষণ) এ.কে.এম সোহেল, দুদকের মহাপরিচালক (তদন্ত-১) রেজানুর রহমান, দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আক্তার হোসেন, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান, মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল ও শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এস.এম আশরাফুজ্জামান।
শরীয়তপুর ও মাদারীপুর দুই জেলায় কার্যক্রম চলবে সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে। মাদারীপুর শহরের লেকেরপাড়ে অবস্থিত সমন্বিত সরকারি অফিস ভবনের ১০ তলায় স্থাপন করা হয়েছে অফিসটি।