আমার কাগজ প্রতিবেদক
২০০৯ সালে বিডিআরে ঘটে যাওয়া নারকীয় হত্যাকাণ্ডে দেশি-বিদেশি কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিলো কি না তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশাই রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন।
তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে বিদেশি কোনো ষড়যন্ত্র ছিলো কিনা তা খতিয়ে দেখতে প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে।
তার আশা, অন্তর্বর্তী সরকার অবশ্যই এই ঘটনায় আলোর মুখ দেখবে। সঠিক তদন্ত হলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করা, এমন মন্তব্য করে হাফিজ বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে জেনারেল মঈন দুর্বলতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ইচ্ছে করে এই হত্যাকাণ্ড দমন করেন নাই। এর দায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন এড়াতে পারেন না, তেমনি জেনারেল মঈনও এড়াতে পারে না।
সেনাবাহিনীর সাবেক এই মেজর বলেন, এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার বিডিআর হত্যার বিচার নিয়ে কাজ শুরু করায় বিএনপির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এই হত্যাকাণ্ডের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আচরণ রহস্যজনক মন্তব্য করে হাফিজ বলেন, সুকৌশলে এই হত্যা ঘটানো হয়েছে। তার দাবি, সরকারি দল ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুকৌশলে বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
কোনো স্থান, কাল উল্লেখ না করে হাফিজ বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগে একটি মিটিং হয়েছে। যেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে কীভাবে হত্যা করা ও লাশ সরানো হবে।
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আজ্ঞাবহ ছিলো আওয়ামী লীগ সরকার। তাদের শাসন আমলে সার্বভৌমত্ব চরমভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
একই সঙ্গে প্রতিবেশী দেশের দালালদের সবার চেহারা উন্মোচিত হবে সেই আশা এবং গণহত্যায় জড়িত শেখ হাসিনাকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিন।